গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য : তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

11th December 2020 2:34 pm বাঁকুড়া
গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য : তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী লাগোয়া একটি নব নির্মীয়মাণ মন্দিরের উপর খুন করা হয়েছে বাঁকুড়া শহরের সোমনাথ দে নামে এক যুবকের সোমনাথের দাদা অভিযোগ গতকাল সন্ধ্যা রাতে সে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে আর ভাই তারপর অনেক রাত্রি পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি সকালে যখন স্থানীয় বাসিন্দারা সতীঘাট সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীতে প্রাতঃভ্রমণের জন্য নদীর দিকে যায় তখন দেখতে পায় মন্দিরের পাশেই পড়ে রয়েছে এক রক্তাক্ত মৃতদেহ । তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেয় , থানায় খবর দিলে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং মৃতদেহ থেকে উদ্ধার করে । প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে প্রথমে ছাদের ওপর খুন করা হয় তারপরে টেনেহিঁচড়ে মৃতদেহটি নিচে নামিয়ে আনা হয় তার মাথার কাছে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে , চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় জামা , আংটি , গলার মালা । তবে খুনের ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা এসে ভিড় জমান এবং মৃতের ভাই এসে শনাক্ত করে মৃতদেহটি তার ভাইয়ের এরপর কান্নায় ভেঙে পড়ে তার দাদা ।
এলাকার মানুষের দাবী এলাকায় ওই নবনির্মিত মন্দিরের উপর প্রতিদিনই চলে গাজার ঠেক দুষ্কৃতীরা আড্ডা পুলিশকে বারবার জানিও কোন ফল হয়নি দুষ্কৃতীদের দাপাদাপিতে এলাকার মানুষের প্রতিদিনই ঘুম ছুটে থাকে এখন দেখার যে পুলিশ এরপরে কতটা নিরাপত্তা দেয় সাধারণ মানুষের একরাশ ক্ষোভ কিন্তু রয়েই গেছে পুলিশের উপর তবে এই খুনের পিছনে কে বা কারা জড়িয়ে আছে তা তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।